Everything about ছাদ বাগানের স্ট্রবেরি

টবের টিপস : ফুল কিংবা ফল গাছ টবে চাষের ক্ষেত্রে গাছের আকার কত বড় হবে, সেই অনুপাতে টবের আকার নির্ধারণ করতে হবে। পানি গড়িয়ে যাওয়ার জন্য টবের নিচে ছিদ্র থাকতে হবে। ছিদ্রের উপর নারকেলের ছোবড়া বা ইটের টুকরো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। টবে ব্যবহারের আগে ছোবড়া বা ইটের টুকরো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। গরম পানিতে ধুয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। যে গাছের চারা লাগানো হবে তা সাধারণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে রোগের সংক্রমণ অনেক কমে যায়। চারা কেনার সময় অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের চারা সংগ্রহ করা দরকার। গাছ বড় হ’লে প্রয়োজনে বড় টবে সাবধানে চারা স্থানান্তর করে নেওয়া যেতে পারে। তবে টব ভেঙে চারা গাছ বের করা যাবে না। চারা গাছটি যেন কোনভাবেই আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছাদে বাগান সৃষ্টি করে তা থেকে সুফল আহরণ করার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপদ ফল সবজি প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিত করণে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরি অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। বয়স্ক নর-নারী অবসর বিনোদনের প্রয়োজনে ছাদ বাগান সৃষ্টিতে অনেকে আগ্রহী হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ছাদ বাগান করে গাছপালার সংস্পর্শে এসে বিচিত্র আনন্দের স্বাদ গ্রহণ করে। অনেক বৃক্ষ প্রেমিক পরিকল্পিতভাবে নিজ হাতে ছাদে বাগান করে সৃষ্টির আনন্দ ও গাছপালার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। একটা সুন্দর ছাদ বাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সারা বছর ধরে পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি।

ঝোপ তৈরি ও পরিচর্চা স্ট্রবেরি চাষ করার ক্ষেত্রে পরিচর্চার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন মাটির সংস্পর্শে আসলেই স্ট্রবেরি পচে যায়। যখন চারা রোপন করবেন তার ২০ দিনের মাথায় খড় দিয়ে সেগুলোকে ভালো ভাবে ঢেকে দিতে হবে। তাছাড়া পোকামাকড় থেকে বাচতে প্রতি লিটার পানির সাথে ৩ মিলিলিটার ডার্সবান ২০ ইসি ও ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন ডিএফ মিশিয়ে ওই দ্রবণে খড় সুধন করে নিলেই উঁইপোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। স্ট্রবেরির রোগ ও প্রতিকার এই ফলটিতে বেশ কিছু রোগ দেখা দেয় যার মধ্যে অন্যতম গুলো হচ্ছে – পাতায় দাগ পড়ার রোগ, এটার ফলে পাতায় বাদামী রঙ্গের দাগ দেখা যায়। এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সিকিউর নামক ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতি লিটার হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া “ফল পচা রোগ” নামক এক রোগেরও দেখা মিলে স্ট্রবেরি ফলের মধ্যে। কিছুটা বাদামী ও কালো রঙের ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায় ফলের মধ্যে। এর প্রতিরোধে ফল পরিপক্ব হওয়ার পূর্বে নোইন ৫০ ডব্লিওপি অথবা ব্যাভিস্টিন ডিএফ নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতির মধ্যে আছে ড্রাম, বালতি, টব, কনটেইনার। এসবের যেকোন একটি বা দু’টি নির্বাচন করার পর পাত্রের তলায় কিছু পরিমাণ খোয়া (ইট পাথরের কণা) দিতে হবে। ইটের খোয়া পানি নিষ্কাশন এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া এবং পাত্রের ভেতরে বাতাস চলাচলে সহায়তা করে। এক্ষেত্রেও অর্ধেক মাটি এবং অর্ধেক পঁচা জৈবসারের মিশ্রণ হ’তে হবে।

বৃক্ষরোপন কি তবে অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। বেঁচে থাকার জন্য তো গাছ লাগাতে হবেই। বাড়ির একটুকরো বারান্দা অথবা ব্যালকনিতেও সুন্দর ভাবে ইচ্ছা করলে গাছ লাগানো যায়। বাড়ির ছাদেও বানানো যায় সুন্দর বাগিচা। শহরের মানুষদের জন্য ছাদ বাগানের কোনও বিকল্পও নেই। বাড়ির মধ্যেকার ব্যালকনি অথবা ছাদের একটুকরো জমিতেও, ইচ্ছা করলে টবে চাষ করা যায় বিভিন্ন ফুলের ও ফলের গাছ।

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

বাঘের আলিঙ্গন: যে ছবি পেল সেরা পুরষ্কার

স্ট্রবেরি চারা রোপণের জন্য প্লাস্টিক মালচিং করা হয় এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে গর্ত করা হয়।

‘মহিলা পুলিশ হয়ে স্বামীর গায়ে হাত তুললেন...’! রাস্তায় দাঁড়িয়ে অফিসারের ক্লাস নিল

নরসিংদীতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির ছাদে বাগান করা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই বিভিন্ন ধরনের বাগান দেখা যায়। অবশ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ছাদে যেসব বাগান দেখা যায় তার অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে বাড়ির ছাদে যেকোন গাছ, এমনকি শাকসবজিও ফলানো সম্ভব। আঙুর, বেদানা, ডালিম, আমড়া, পেয়ারা ইত্যাদি নান ধরনের মৌসুমী ফল ছাড়াও কলমি শাক, কলা, ডাঁটা, লাউ ইত্যাদি অনায়াসে উৎপাদন করা যায়। কোন গাছের জন্য কি ধরনের মাটি উপযোগী তা নিশ্চিত হয়ে ছাদে বাগান করলে ভাল হয়। এ ছাড়া বেশি রোদ বা ছাদ বাগানের স্ট্রবেরি চাষ গরম সহ্য করতে পারে এমন গাছই ছাদে বপন করা উত্তম। ছাদে বাগান করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিয়মিত পানি সেচ দেয়া। কারণ, বাগানের গাছগুলো যেহেতু সাধারণ মাটির সংস্পর্শ হতে দূরে থাকে তাই নিয়মিত পানি সেচ না দিলে গাছগুলো যেকোন সময় মারা যেতে পারে। সাধারণত দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে গাছ ভাল জন্মে। ছাদে বাগান করতে হলে এ ধরনের মাটি ব্যবহার করলে ভাল হয়।

স্ট্রবেরির জন্য রোদ আর শিশির দুটোই ভীষণ দরকার। ফুল থেকে ফল হওয়ার পরে ফল কোনও ভাবেই মাটির স্পর্শ করতে পারে। ফল যদি মাটি স্পর্শ করে তাহলে সেই ফল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য গাছের ফুলের নিচের অংশে একটু খড় দেওয়া দরকার। সব মিলিয়ে একটু পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যে সাধের বাগান ভরে উঠবে স্ট্রবেরিতে।

‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি

ক. তলার প্রথম অংশ : তৃতীয় গ্রেডের ইটের কম দামি ছোট আকারের খোয়া/টুকরা দিয়ে ৩-৪ ইঞ্চি ভরাট করা;

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “Everything about ছাদ বাগানের স্ট্রবেরি”

Leave a Reply

Gravatar